সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রান্ত দাস (৩৭) নামের এক বিআরডিবি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিতলমারী উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ওষুধের দোকানের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ওই কর্মকর্তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে তার ওপর হামলা করা হয়।
এসময় হামলাকারীদের মারধরে মা ও বোন গুরুত্বর আহত হন। পরে ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রান্ত দাসসহ তার মা গীথা দাস (৬০) ও বোন স্নিগ্ধা দাস (৪০)কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত প্রান্ত দাস চিতলমারী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত দেবেন্দ্রনাথ দাসের ছেলে ও পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা।
প্রান্ত‘র বোন স্নিগ্ধা দাস বলেন, উপজেলার শীবপুর গ্রামের ফারুক মুন্সির সঙ্গে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাড়ির সামনে একটি দোকানে ওষুধ কিনতে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ৬-৭ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাই প্রান্ত দাসের ওপর হামলা করে। ভাইয়ের চিৎকারে আমরা ছুটে এসে দেখি হামলাকারীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর ফেলে আমার ভাইকে মারধর করছে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পুলিশ চলে গেলে রাতেই প্রভাবশালী ফারুক মুন্সির নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন হাসপাতালে প্রবেশ করে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা প্রথমে জরুরি বিভাগের গেট বন্ধ করে দেয় এবং আমার ভাইকে মারধর করতে থাকে। আমি এবং মা এগিয়ে আসলে, আমাদেরকেও মারধর করে। মারপিটের পর হাসপাতালের মেঝেতে ফেলে বুকের ওপর লাথি-গুতা মারতে থাকে। আমরা হামলাকারীর বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে ফারুক মুন্সি বলেন, প্রান্ত দাস ও তার ভাড়াটিয়া লোকজন আমার স্ত্রীর ক্রয়কৃত জায়গার ঘর ভাঙচুর করে। এ নিয়ে সমস্যা ছিল। তবে প্রান্তকে আমরা মারিনি।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) চিকিৎসক মো. সুমন তালুকদার বলেন, জরুরি বিভাগে মুক্তা খান নামে এক রোগীর চিকিৎসা করছিলাম। এ সময় ওই তিন রোগী এলে তাদের পরে হামলা করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে।
চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার রায় বলেন, রাতে খবর পেয়ে প্রথমে প্রান্ত দাসদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আবার হাসপাতালে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পুনরায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আহতরা লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএ