সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সন্তান হত্যা মামলার দেড় মাসেও এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে বিচার চেয়েছেন এক বাবা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব চিলমারীর কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৯ জুলাই চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর কলেজ ছাত্র জোবায়ের হোসেন আমিনের লাশ ভেসে ওঠে। বিকৃত লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়।
নিহত জোবায়ের হোসেন আমিন (১৯) উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। কারমাইকেল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের বাবা আব্দুল জলিল আমিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১৯ জুলাই রাত ১টা হতে রাত ৩ টার মধ্যে যেকোনো সময় আমার সর্বকনিষ্ঠ পুত্র জোবায়ের হোসেন আমিন (২১) কে হত্যা করে লাশ চিলমারী নৌবন্দরের রমনা ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ পল্টুনের নীচে ফেলে দেয়।
পরদিন পুলিশ তার মহদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্ত শেষে আমার নিকট হস্তান্তর করেন।
এব্যাপারে ২১ জুলাই চিলমারী মডেল থানায় মো. সাইনান স্বচ্ছ (২১), মো. ইউসুফ আহম্মেদ জায়েদ (২১) সহ আরও ৬/৭ অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয় চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সিআই মো. নাজমুল হককে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এখন পর্যন্ত মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার করা হয় নাই। আসামিরা আমার নিহত ছেলের সঙ্গে চলাফেরা করত। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতে পারে। তারই অংশ হিসেবে আমার ছেলেকে গত ১৮ জুলাই রাত ১০টার সময় আমার বাড়ীর সামন থেকে মোটর সাইকেলে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফিরা শেষে চিলমারী বন্দরের রমনা ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে জোবায়ের হোসেন আমিন (২১) কে হত্যা করে লাশ চিলমারী নৌবন্দরের রমনা ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ পল্টনের নীচে ফেলে দেয়।
নিহতের বাবা আরও জানান, মামলার এজাহারে সুনির্দিষ্টভাবে আসামিদের নাম থাকা সত্বেও পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদেরকে গ্রেপ্তা করছেন না। আমি অতি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
চিলমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, হত্যা মামলাটি আমাদের থাকায় হয়েছে। তবে সবকিছু নৌ পুলিশ দেখছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি তারা ভালো বলতে পারবে।
এফএইচ