সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মানিকগেঞ্জ দারুল আবরার ইসলামীয়া ও এতিমখানা মাদরাসা নামের প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ঈমাম আহসান হাবীবের বিরুদ্ধে উঠেছে আর্থিক দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ। প্রতিষ্ঠানটি পুরোপুরি দখলে নিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে বের করে দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠাতাকে। প্রকাশ্যে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে প্রতিষ্ঠাতা ওয়াদুদ খানের সঙ্গে। ঘটেছে উভয়পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনাও। এঘটনায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার , দুদক, ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত বরাবর অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রতিষ্ঠাতা।
জানা গেছে, ২০১২ সালে মানিকগঞ্জের চর বেউথা এলাকায় দারুল আবরার ইসলামীয়া ও এতিম খানা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন আবদুল ওয়াদুদ খান। তিন বছর সুনামের সঙ্গে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করেন তিনি। দিন দিন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ায় ২০১৫ সালে মাদরাসাটি পরিচালনা করার জন্য ঈমাম আহসান হাবীবকে মৌখিকভাবে দায়িত্ব দেন ওয়াদুদ খান। সেই সঙ্গে আয়-ব্যয়ের হিসাবেরও দায়িত্ব দেন তাকে। ২০১৯ সালে মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইতে গেলে ওয়াদুদ খানের সঙ্গে ঈমাম আহসানের দ্বন্দ শুরু হয় তার। জেলার শীর্ষ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দিয়ে প্রতিষ্ঠাতাকে বের করে পুরোপুরি দখলে নেন ঈমাম আহসান হাবীব। চাকুরি থেবে বের করে দেন আরো কয়েকজনকে। অভিযোগ রয়েছে দুর্নীতির মাধ্যমে মাদরাসার লাখ লাখ টাকা করেছেন লোপাট। ঘটে উভয়পক্ষের হামলার ঘটনাও। স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা বসেও হয়নি কোনো সুরাহা। বিচারের দাবি ওয়াদুদ খান জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার , দুদক, ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত বরাবর অভিযোগ দেন তিনি।
অভিভাবকদের দাবি, পরিচালকদের এমন দ্বন্দে যেনো শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়। শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা। অতি দ্রুত সমস্যার সমাধান করে এতিম শিশুদের পড়ালেখার পরিবেশ করে গড়ে তুলবেন প্রশাসন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আহসান হাবীব বলেন, তার বিরুদ্ধে এটা ষড়যন্ত্র । যেকোনো আইনি তদন্তের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে দারুল আবরার ইসলামীয়া ও এতিমখানা মাদ্রাসার সদস্য সচিব ও পৌর কাউন্সিলর আবু নাহিদ জানান, অল্প কিছুদিন ধরে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পেয়েছি। যেসব অভিযোগ ও উভয়ের মাঝে যে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে তা প্রশাসনের সঙ্গে মিলে সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে একটি খবর দেশ টেলিভিশনে সম্প্রচার হয়েছে। ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
এফএইচ