সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টা ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে হয়রানির হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টা অভিযোগ করেন খালেদ মাসুদ পাইলট।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তি।
তিনি বলেন, গত ১১ এপ্রিল গোদাগাড়ীর চকনারায়ণপুর গ্রামের ১১ জনের সম্পতি প্রায় ২ বিঘা ধানী জমি বিক্রয় করি। এরপর ক্রেতা নাসরিন সুলতানা জমির দখল নেন। কিছুদিন পর ওই জমি খালেদ মাসুদ পাইলট জোরপূর্বক ঘিরে রাখে। জমির প্রকৃত মালিক জমিতে গেলে তাদের হুমকি দেয় ও জমির বর্গাচাষিকে মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে আটক করায়। পাইলট হুমকি দিয়ে বলে, ‘রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইকে দিয়ে সবার ব্যবস্থা করবে। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে আমার বন্ধু, তাকে বললে তিনি পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি দিয়ে সবাইকে সাইজ করে দিবে।’
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, পরে তারা তাদের কেনা জমি দখলের জন্য স্থানীয় রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে আবেদন করেন। গ্রাম আদালত খালেদ মাসুদ পাইলটকে বসার জন্য নোটিস পাঠালেও সেখানে তিনি হাজির হননি। এরপর খালেদ মাসুদ পাইলট আমাকে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়, ‘ওই জমি অন্য মানুষের থেকে ক্রয় করেছি। এ জমিতে যদি কেউ আসে তাকে প্রশাসন দিয়ে ঝামেলায় ফেলবো। আমি জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আমার কথা সবাই শুনবে। এছাড়া পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি দিয়ে সব হুঙলাই দিবো।’ এই ফোন রেকর্ডের একটি কপিও আমাদের কাছে আছে। তাই অন্যায় অত্যাচার থেকে আমরা মুক্তি চাই। জমির প্রকৃত মালিক যেন জমি ফিরে পায় সেটার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
এ ব্যাপারে বিকেলেই খালেদ মাসুদ পাইলট রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি দাবি করেন, নাসরিন সুলতানা দালালের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে জমি কিনেছেন। প্রকৃতপক্ষে জাহাঙ্গীরের ভাগের জমি তিনি আগেই বিক্রি করেছেন। বাস্তবে তার কোনো জমি নেই। হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে খালেদ মাসুদ বলেন, তার কেনা জমি রীতিমতো ভূমি অফিস তার নামে নামজারি করেছে। খাজনাও পরিশোধ করেছেন। জাহাঙ্গীর টাকা নিয়েছেন, তাই নাসরিন সুলতানার পক্ষে সাজানো সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন।
এফএইচ