সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফরিদপুরের সদরপুর থানা থেকে লুট হওয়া শর্টগানের গুলিতে আহত এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে সোমবার (১২ আগস্ট) ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের নাম পলাশ (১৮)। সে সদরপুরে আটরশীর হোটেল ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেনের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত পলাশ তার বাবার সঙ্গে হোটেলে কাজ করত। ৬ আগস্ট সকালে হোটেলে থেকে তার দুই বন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আড়াইরশি গ্রামে মোসলেম মাতুব্বরের বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির একটি কক্ষে পলাশের মাথায় শর্টগানে গুলিবিদ্ধ হয়। এদিকে, গুলির শব্দে বাড়ির লোকজন ছুটে গিয়ে দেখে গুরুতর আহতাবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে রক্তাক্ত পলাশের দেহ। দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৬দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার (১২ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে মারা যায় পলাশ।
স্থানীয়রা জানায়, পলাশকে গুলি করা অস্ত্রটি সদরপুর থানা থেকে লুট হওয়া একটি শর্টগান। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন বিকেলে সদরপুর থানা থেকে ওই শর্টগান লুট করা হয়েছিল। অস্ত্রটি আটরশির একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে উদ্ধার করে সদরপুরের আনসার বাহিনী। পরে সেটি ফরিদপুর সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। সদরপুর থানার কার্যক্রম পরিপূর্ণভাবে সচল না হওয়ায় এখনও এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। কিন্তু লুট হওয়া অস্ত্রের গুলিতে সে মারা গেছে কিনা আমাকে কেউ জানায়নি।
আরএ