সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নানা কাজের জন্য বির্তকিত ছিলেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র পদে রয়েছেন। তার হাতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ নির্যাতিত হয়েছিলেন। এমনকি তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনও তার হাতে নীপিড়নের স্বীকার হয়েছিলেন। অবশেষে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়া ঘোষণার পর বিক্ষুব্দ জনতা একত্রিত হয়ে আবদুল কাদের মির্জার বাসভবনে দিকে রওয়ানা হয়। খবর পেয়ে তিনি পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বসুরহাট বাজারে ছাত্র জনতার বিশাল আনন্দ মিছিল হয়। এসময় বিক্ষুব্দ জনতার একটি অংশ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের ওবায়দুল কাদেরের বাড়ির দিকে যেতে থাকে। এসময় ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বাড়িতে ছিলেন। সংঘবদ্ধ বিক্ষুব্দ জনতা তার বাড়ির দিকে আসছেন এমন খবর পেয়ে তিনি স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। পরে বিক্ষুব্দরা বাড়িতে ঢুকে তাকে খুঁজতে থাকেন। না পেয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, ভাঙচুরের সময় কাদের মির্জার ঘরে প্রচুর পরিমাণে টাকা এবং পুলিশের ইউনিফর্ম পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে, আবদুল কাদের মির্জা ও তার ছেলে তাশিক মির্জা পুলিশের এসব ইউনিফর্ম তাদের লালিত ক্যাডার পরিয়ে নানা ধরনের অপকর্ম করাতেন। কাদের মির্জার কালো হাত থেকে ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনও রক্ষা পায়নি। এমনকি ভাগিনারাও তার দ্বারা নির্যাতন হয়েছেন। তার কথার বাইরে কেউ গেলেই তাকে ধরে নানাভাবে নির্যাতন করতেন।
কোম্পনীগঞ্জ থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, বিক্ষুব্দ জনতা ওবায়দুল কাদের ও আবদুল কাদের মির্জার বাড়িতে আগুন দিয়েছে। টাকা ও পুলিশের পোষাক পাওয়ার বিষয়টি লোক মুখে শুনেছি।
আরএ