সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নিহত দুইজনই ছিলেন পথচারী। একজন কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে গুলিতে নিহত হন। অন্যজন কৌতূহলী হয়ে বাসার নিচে নেমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ধল্লা খানপাড়া গ্রামের মো. বাহাদুর খানের ছেলে মো. সাদ মাহমুদ খান (১৩) ও তালেবপুর ইউনিয়নের ইসলামনগর গ্রামের শেখ বুদ্ধের মেয়ের জামাই কুমিল্লার বাঞ্চারামপুরের মো. সাইদুল ইসলামের ছেলে মো. তুহিন আহমেদ (২৮)।
নিহত মো. সাদ মাহমুদের বাবা মো. বাহাদুর খান বলেন, সাভার যাবালে নূর দাখিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সাদ মাহমুদ গত ২০ জুলাই বাসার ছাদে ফুফাতো ভাই মো. হাসিবুল (১৩) এর সাথে খেলা করছিল। সাভার নিউ মার্কেটের দিকে হঠাৎ ধোয়া দেখতে পেয়ে কৌতূহলী হয়ে বাসার নিচে রাস্তায় নামে। পরে কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের সময় সাদ মাহমুদের গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই পড়ে যায়। এরপর পথচারীরা উদ্ধার হাসপাতালে নেওয়ার পথে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর জন্য পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন তিনি।
নিহতের বোন তাসলিমা খানম নাজনীন বলেন, সাদের বয়স কম। সে এই আন্দোলন কিছুই বুঝে না। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ধোয়া দেখে বাসার নিচে নামার পর তাকে গুলি করা হয়। এসময় আরও একজনকে গুলি করা হয়। তাদের সাহায্য করতে এক রিকশাচালক এগিয়ে আসলে তাকেও গুলি করে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
ধল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মাদরাসা ছাত্র সাদ নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, এ রকম মৃত্যু করো কাম্য না। এটা আসলেই দুঃখজনক। আমি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
এদিকে, নিহত তুহিন আহমেদের পরিবার জানান, নারায়ণগঞ্জে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো চাচাতো বোন জামাই তুহিন আহমেদ। গত ১৮ জুলাই বিকেলে কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে চিটাগংরোড ডাচ বাংলা ব্যাংকের কাছে গিয়ে পেটে গুলিবিদ্ধ হন তুহিন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্ত্রী রিয়া আক্তার (২৪) ও পরিবারকে জানানো হয় এ ঘটনা। তারা বলে গ্রামের বাসায় পাঠাতে। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পাঠিয়ে দেন তার সহকর্মীরা। বাড়িতে এনে অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুলাই তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ জুলাই সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
তালেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনের নিহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, সে ইসলামনগর গ্রামের শেখ বুদ্ধের মেয়ের জামাই। জানতে পেরেছি নারায়ণগঞ্জে কাজে গিয়ে আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত হয়েছে। তার ৩ বছর বয়সী একজন ছেলে আছে।
আরএ