সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
গাইবান্ধায় বৈষম্য বিরোধী ও কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ শত জনকে আসামি করছেন। এ ঘটনায় মোট ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সারা দেশের ন্যায় গাইবান্ধায় কোটা সংস্কারের দাবিতে গাইবান্ধা সদরের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী অংশ গ্রহণ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পরিবেশ থমথমে বিরাজ করতে থাকে। আওয়ামী লীগ জেলা অফিসসহ পুলিশের ওপর আক্রমণ করে আন্দোলনকারীরা। এরপর পুলিশ ও সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা। এর আগে বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে গাইবান্ধার সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে ‘পুলিশের ওপর আক্রমণ’র অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেন।
গতকাল বুধবার একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুর করা হয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগ অফিস চত্বরের ১১টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাসেরশেল নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
সদর থানার ওসি মো. মাসুদ রানা আরও বলেন, বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার পর রাতেই ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীও রয়েছে। ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারী অন্যান্য অভিযুক্তদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মতলুবর রহমান সাংবাদিক ও আন্দোলনকারীসহ অনন্ত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পাল্টা হামলা চালিয়ে অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আরএ