সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা বই খুলে এইচএসসি পরীক্ষার দেওয়ার অভিযোগে দায়িত্বরত দুই কেন্দ্র সচিবসহ ৫ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তারা হলেন- পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো.আবুল বাশার ও নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান।
সোমবার (৮ জুলাই) কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চিঠির আলোকে এ ব্যবস্থা নেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
এছাড়া একই অভিযোগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার সোহেল রানাসহ দায়িত্বরত দুই শিক্ষককেও প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, এবারের এইচএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের তৃতীয় তলার ১০৭ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীরা কেউ বই খুলে, কেউ বাহির থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে, আবার কেউ একজন অন্যজনের খাতা দেখে পরীক্ষা দেয়। এ বিষয়টি ওই কেন্দ্রের কেউ একজন গোপনে ভিডিও করে বাহিরে প্রচার করে। বিষয়টি তখন প্রশাসনের নজরে আসে। কিন্তু সেদিন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি ট্যাগ অফিসার হিসেবে ছিলেন কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা। তার উপস্থিতিতে ওইদিনসহ প্রতিদিনই এভাবে বই দেখে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ উঠেছে, প্রতিদিন এ সুযোগ পেতে কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে মোটা অংকের টাকা দেওয়া হতো। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রুস্তম আলী কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, কোন কক্ষে কী হয়েছে তা আমি বলতে পারছি না। তবে এ ঘটনায় প্রশাসন দুই কেন্দ্রের সচিবকে পরিবর্তন করে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নতুন দুজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা ইকবাল আজিজ বলেন, এভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েদের নকলের সুযোগ করে দিয়ে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করা হচ্ছে। কচুয়া উপজেলায় ৭টি কেন্দ্রেই এ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করে আসছে। প্রশাসন এটি দেখেও রাজনৈতিক প্রভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদ বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকেও একটি তদন্ত টিম আসবে।
কে