সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
পটুয়াখালীর বাউফলে আলোচিত কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণ মামালার প্রধান আসামী মো. বাবু মৃধা (৩২) ওরফে পিস্তল বাবুকে র্যাব-৮ ও র্যাব-১০ ঢাকার কদমতলী থানাধীন সুফিয়া হাসপাতালের সামনে থেকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার (৬ জুলাই) আনুমানিক সময় বিকাল ৫ টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার কদমতলী থানাথীন সুফিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার শাপলাখালী ইউনিয়নের মোফাজ্জেল মৃধার ছেলে মো. বাবু মৃধা (৩২) ওরফে পিস্তল বাবুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প, কোম্পানী অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলার বাউফল থানার ধর্ষিতা তরুনী (১৭) একাদশ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন গত (১১ জুন) তারিখ সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় ভিকটিম কলেজে যায়। কলেজ শেষে বাড়িতে ফেরার পথে ৩ নং আসামী সোহেল তাকে অটোরিক্সাযোগে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রওনা হয়ে বাড়ির সামনে না নামিয়ে বাড়ি থেকে একটু দূরে আমির সিকদার এর বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ভিকটিম পায়ে হেটে রওনা হলে আসামী বাবু ও তার সহযোগী ২ নং আসামী সুমন তার পিছু নেয় এবং তাকে দাড় করিয়ে তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে এবং পথরোধ করে পরবর্তীতে আসামীরা ভিকটিমকে হাত ধরে টেনে নিয়ে আমির সিকদার এর টিনশেড বসত ঘরের ভিতর নিয়ে যায়।
আসামীরা উক্ত ঘরে থাকা এক মহিলাকে বের করে দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার ভয় দেখায়। পরে ১ নং আসামী ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ২ নং আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২ জন আসামীরা রাস্তা থেকে ৩ নং আসামীকে ডেকে নিয়ে আসে এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে দিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করায়। ৩ নং আসামীকে দিয়ে ধর্ষণ করানোর সময় ১ নং আসামী ভিডিও ধারণ করে রাখে এবং উক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৩ নং আসামীর নিকট হতে নগদ ৪,৫০০ টাকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
পরবর্তীতে ধর্ষিতা তরুনী বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানায় ১৪ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(৩)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করলে আসামী আত্মগোপনে চলে যায়, যার মামলা নং ১৯।
র্যাবের নজরে বিষয়টি আসলে র্যাব আত্মগোপনে থাকা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য ব্যাপক ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ জুলাই র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-১০, সদর কোম্পানী, কেরানীগঞ্জ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল ডিএমপি, ঢাকার কদমতলী থানাথীন সুফিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান পরিচালনা করে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমএ