সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ময়মনসিংহের সুতিয়া নদী থেকে উদ্ধার হওয়া যুবকের লাশের পরিচয় মেলেছে। নিহত ওমর ফারুক সৌরভ (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শিক্ষার্থী। সে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামের ইউসুফ আলী আকন্দের ছেলে।
পুলিশ বলেছেন, পারিবারিক বিরোধের কারণে সৌরভ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
রোববার (২ জুন) সকালে সদর উপজেলার ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মনতলা ব্রিজের নিচে স্থানীয়রা একটি মরদেহের মাথা পলিথিনে মোড়ানো দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ খাদে লাগেজ থেকে মাথা ছাড়া মরদেহ এবং খানিকটা দূরে পলিথিনে মোড়ানো মাথা উদ্ধার করে। লাশের পাশে বালিশও ছিল। এ ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী লাশের পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি ঘাতকদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
নিহতের চাচা রতন আলী বলেন, সৌরভ তার বাবা মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকতো। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শিক্ষার্থী। গত শনিবার রাতে সৌরভ ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আসে। তার বাবা ইউসুফ আলী আকন্দ ডাক বিভাগে কর্মরত। সৌরভ আমার ভাতিজি ইভাকে বিয়ে করে; সে বিয়ে মেনে নেয়নি ইভার বাবা ইলিয়াস আলী। পরে ইভাকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এসব নিয়ে আমাদের পারিবারিক কিছুটা বিভেদ চলছিল। তবে সেই বিভেদ সৌরভকে খুন করার মতো নয়। সেখানে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সৌরভ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক বিরোধে সৌরভকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। নিহতের স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুপুরে চার খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরএ