টেলিফোন প্রতীকে লড়বেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে লড়বেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল এ প্রতীক বরাদ্দ দেন।

দেশ টিভি অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

জানা যায়, হলফনামায় মামলার তথ্য ও আয়কর বিবরণীর তথ্য গোপন রাখায় শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। তারপর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বরাবর আপিল করেন শাহদাত হোসেন। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান একই কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এরপর মঙ্গলবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পান শাহদাত হোসেন।

আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন-শাহদাত হোসেন (টেলিফোন), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল (দোয়াত কলম), উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল (আনারস) এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওমর আলী রাজ (মোটরসাইকেল)।

প্রতীক পেয়েই ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ চাইলেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেন। তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমি অবশেষে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। আজ প্রতীক পেলাম। তবে ভোটের পরিবেশ নিয়ে আমি শঙ্কিত। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ চাই। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ কোম্পানীগঞ্জের সাধারণ মানুষ আমার পাশে রয়েছে। তারা অতীতের নির্যাতনের জবাব দিতে উন্মুখ হয়ে আছে। প্রভাবশালী একজন নির্বাচনি মাঠে একজন প্রার্থীর পক্ষে তার প্রভাব বিস্তার করায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা। ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যেতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা। কোম্পানীগঞ্জের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তারা জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতনের জবাব ভোটের মাধ্যমে দিবে।

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে টেলিফোন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। যদি কারও অভিযোগ থাকে তাহলে আমরা খতিয়ে দেখব।

এফএইচ