সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
টানা তেত্রিশ দিন জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে অবশেষে মা-বাবার কাছে ফিরে এসেছেন আনোয়ারুল হক রাজু। তিনি সোমলিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মিকৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমবি আবদুল্লাহ কর্মরত ছিলেন। ছেলেকে কাছে পেয়ে অঝোরে কাঁদলেন মা দৌলত আরা বেগম। রাজুও পরিবারের কাছে ফিরতে পেরে আনন্দিত।
জানা গেছে, দীর্ঘ তেত্রিশ দিন ছিলেন বন্দী। জাহাজে সোমলিয়ান জলদস্যুরা অন্য ২৩ জন নাবিকের সঙ্গে রাজুকেও জিম্মি করে রেখেছিলেন। ছেলে জিম্মি হওয়ার পর থেকে মা-বাবার যেন দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই। অবশেষে ছেলে বাড়িতে আসায় তারাও যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। রাজুও খুশি পরিবারের কাছে আসতে পেরে। সোমবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে আসেন রাজু। মা তার পছন্দের অনেক পদের রান্না করে রেখেছিলেন। রাজু আসার পর পোলাও রান্না করেছেন। মায়ের হাতের রান্না খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন রাজু।
ছেলেকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে মা দৌলত আরা বেগম অঝোরে কান্না করেন। ছেলের পছন্দের অনেক রান্না করেছেন। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে পেয়েছি। আল্লাহ আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। একবার ভেবেছিলাম কলিজার টুকরাকে ফেরত পাবো না। আর কারও সন্তান যাতে এ পরিস্থিতিতে না পড়ে, সে দোয়া করি।
রাজুর বাবা আজিজুল হক বলেন, নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি। ছেলে নতুন ঘর করছে। এবার ছেলেকে বিয়ে করাব। শিপিং কোম্পানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাবা-মায়ের কাছে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বাসিত রাজু। তিনি বলেন, মহান আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া পরিবারের কাছে ফিরে এসেছি। মায়ের হাতের রান্না খেয়েছি। এটার চেয়ে খুশি আর কি হতে পারে। বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সবাই দেখতে আসতেছে। আমার বিপদে সবাই আমার পরিবারের পাশে ছিল, আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
রাজু আরও বলেন, জিম্মিদশায় সবচেয়ে আতংকের বিষয় ছিল। ঘুম থেকে যখন উঠতাম তখন দেখতাম আমাদের দিকে বন্দুক তাক করা। সবচেয়ে কষ্টকর, সবাই মিলে একটা ওয়াশরুম ব্যবহার করা।
আরএ