সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
মাদারীপুরে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুইচারভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী এনামুল ঢালীকে (৪২) আটক করেছে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম রহিমা বেগম (৩০)। তিনি সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের সিদ্দিকখোলা গ্রামের আইয়ুব আলী মাতুব্বরের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে রহিমার সঙ্গে একই উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা এলাকার মৃত মাজেদ ঢালীর ছেলে এনামুল ঢালীর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই রহিমার স্বামী, ভাসুর টুকু ঢালী, ভাসুরের বউ খাদিজা বেগমের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকতো। সবশেষ শনিবার সন্ধ্যায় ভাসুর টুকু ঢালীসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন মিলে রহিমাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এতে মারা যায় ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রহিমা বেগম। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ রাতেই রহিমার শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার লাশটি উদ্ধার করে। পরে লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত রহিমা বেগমের ভাই সোহেল মাতুব্বর বলেন, আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য এভাবে মেরে ফেলবে, কখনও ভাবতে পারিনি। এই ঘটনায় জড়িত এনামুল ও তার পরিবারের লোকজনের কঠিন বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে রহিমার ভাসুর টুকু ঢালী বলেন, রহিমা নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাকে কেউ নির্যাতন করেনি। আমাদের সাথে রহিমার পারিবারিকভাবে কোনো বিরোধ নেই।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী এনামুলকে আটক করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় আমরা নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরএ