সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে পৌরসভার টাকা আত্মসাৎ ও আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মেয়র আনোয়ার আলীসহ তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত নেমেছে দুদক। তাদের সম্পদের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠিও দিয়েছে তারা।
এ সম্পর্কে দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল দেশ টিভিকে বলেন, পৌরসভার বিভিন্ন কাজে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত নেমেছেন তারা। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালের জুলাইয়ে দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, তার স্ত্রী আকতার জাহান, ছেলে পারভেজ আনোয়ার ও ছেলের স্ত্রী নোশিন শারমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ আসে। তাদের বিরুদ্ধে পৌরসভার আদায় করা অর্থ উন্নয়ন কাজে ব্যবহার না করে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযোগের অনুসন্ধান করতে নীল কমলকে কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
১ এপ্রিল ওই কর্মকর্তা ওই ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পদ অর্জনসংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছেন। জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা রেজিস্ট্রারসহ দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে তাদের নামে কোনো জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, দোকান বা কোনো স্থাপনা বরাদ্দ বা কী পরিমাণ টাকা রয়েছে, তার তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব তথ্যের রেকর্ডপত্রের মূল কপির সত্যায়িত ছায়ালিপি চাওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বোচ্চ সাত কর্মদিবসের মধ্যে এই তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী এবং তার পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, আনোয়ার আলী ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরএ