সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চিকন সুতা দিয়ে সেলাই করে বাঁধা ছোট্ট দুটি চোখ। তার উপর আবার আঠা দিয়ে হয়েছে আটকানো। এভাবেই দুটি ঘুঘু পাখির দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কেড়ে নেওয়া হয়। দৃষ্টিহীন ঘুঘুকে বিশেষ পদ্ধতিতে বেঁধে জাল দিয়ে প্রকৃতিতে থাকা ঘুঘুসহ অন্য পাখি শিকার করেন অসাধু শিকারিরা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের একটি মাঠে এভাবেই ঘুঘু ধরার ফাঁদ পেতে ছিল একটি শিকারিচক্র। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ওই ঘুঘু পাখি দুটিকে উদ্ধার করেছে। তবে পালিয়ে গেছে অসাধু শিকারিরা।
শরণখোলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছু শিকারি ঘুগুর দুচোখ আটকে ও দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে জালের ফাঁদ পেতেছে এমন খবর পাই। স্থানীয় কয়েকজন তরুণকে নিয়ে আমাদের সদস্য শাহিন হাওলাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিকারি চক্রটি ঘুঘু দুইটিকে রেখে পালিয়ে যায়।
নাজমুল ইসলাম বলেন, মূলত গ্রামের মাঠে ওই দুটি ঘুঘু পাখিকে আটকে রাখা হয়েছিল অন্য পাখি ধরতে। সেখানে এই ঘুঘু দুটিকে দেখে ঘুঘু বা অন্য পাখি এলে জালে আটকা পড়তো। বাস বা লম্বা লাঠি মাথায় বেধেও এভাবে পাখি দিয়ে পাখি ধরা হয়। আমরা পাখি দুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করেছি। বিষয়টি বনবিভাগকেও অবগত করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ভিটিআরটি দলসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা স্থানীয়ভাবে কাজ করা ব্যক্তিরা এ ধরনের বিষয়ে আমাদেরকে জানায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। আমি এটা শুনছি। এ বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখব।