সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনি থেকে উদ্ধার করা এক কিশোরীকে স্ত্রী দাবি করেছেন সুজন গাজী (২৪) নামের এক যুবক।
এই ঘটনায় থানায় গিয়ে উত্তেজিত হয়ে নিজের পেটে ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে জেলা সদরের মডেল থানায় এই ঘটনা ঘটে।
কিশোরী উদ্ধার ও যুবক জখম হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত।
তিনি বলেন, সুজন গাজী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলে তার বিরুদ্ধে যাচাই-বাছাই করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জখম হওয়া সুজন গাজী (২৪) চাঁদপুর শহরের ব্যাংক কলোনির হারুন গাজীর ছেলে। তাকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে গতকাল রাতেই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম গতকাল দুপুরে শহরের ব্যাংক কলোনিতে সুজন গাজীর ভাড়া বাসা থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এ সময় সুজনের মামাকে সঙ্গে করে থানায় নিয়ে আসেন এসআই। পরে বিকেলে সুজনের মা থানায় হাজির হন। এ সময় পুলিশ তার মাকে আটকে মামাকে ছেড়ে দেয়।
মাকে আটক রাখায় পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় থানায় হাজির হন সুজন। পরে তিনি থানায় উপস্থিত সবার সামনে উদ্ধার করা কিশোরীকে স্ত্রী দাবি করেন। এ সময় তার নতুন বউকে কেন থানায় আনা হয়েছে বলে উত্তেজিত হয়ে পড়ার এক পর্যায় কাছে থাকা ছুরি দিয়ে নিজের পেটে সুজন আঘাত করেন। এসব কথা জানিয়েছে পুলিশ।
সুজন গাজীর বোন বলেন, আমার ভাই থানায় গেলে উপপরিদর্শক আবদুল আলিম ভাইকে থাপ্পড় দেয়। তারপরই সে নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে। ওই কিশোরীর সঙ্গে ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে।
জেলার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৪ মার্চ রাতে সে শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। এ বিষয়ে গত ১ এপ্রিল চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত বলেন, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের এক কিশোরী মিসিং ডায়েরি হয়। সেই ডায়েরির সূত্র ধরে থানার এসআই আবদুল আলিম তাকে শহরের ব্যাংক কলোনি থেকে উদ্ধার করে। যে ছেলের সঙ্গে চলে আসে, ওই ছেলেকে (সুজন) থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে ওই ছেলে কিশোরীকে স্ত্রী দাবি করেন। কিশোরীকে কেন থানায় নিয়ে এসেছে, এমন উত্তেজনামূলক কথা বলেন ওই ছেলে। কিছু সময় পর তিনি পকেটে লুকানো ধারালো ছুরি বের করে নিজের পেটের বামপাশে ঢুকিয়ে দেন।
জেবি