সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ঘরে খাবার নেই, তাই সকালে যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন চালক আল আমিন (২৮)। পরিবারকে বলে এসেছিল, বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরে দুপুরে স্ত্রী-সন্তাসসহ বৃদ্ধ মা-বাবার সঙ্গে ভাত খাবেন।
কিন্তু বেপরোয়া গতির বাস পথে তার যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় চালক আল আমিনসহ ৭ জন।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশ ঘরের সামনে বসে ছেলে হারানোর শোকে বিলাপ করছিলেন বৃদ্ধ মা আনিছা খাতুন (৬০)।
তিনি ফুলপুর উপজেলার ভিউপূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছাহের উদ্দিনের স্ত্রী। তবে বর্তমানে তিনি ছেলে ও তার পরিবারে সঙ্গে উপজেলার বালিয়া মোড়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।
আনিছা খাতুন বলেন, আমার কোনো বসতভিটা নেই। স্বামী অসুস্থ হয়ে অনেকদিন ধরে বিছানায় পড়ে আছেন। এখন ছেলে আল আমিনই ছিল পরিবারের একমাত্র ভরসা। তার রোজগারেই সংসার চলে।
জানা যায়, নিহত আল আমিন কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছেন। তার ছয় বছর বয়সী লামিয়া ও তিন বছর বয়সী মোবারক নামে দুটি সন্তান রয়েছে।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর শুনে আলালপুর এসে স্বামী হারানোর শোকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন নিহত আল আমিনের স্ত্রী হালিমা খাতুন।
পরে কিছুটা সুস্থ হলে তিনি বলেন, অভাবের সংসারে টেনেটুনে দিন যেতো। আজকে প্রশাসন আমাদের সহযোগিতার কথা বলছে, তা দিয়ে কয়দিন চলবে। এমন বেপরোয়া গতির কারণে আর কারো প্রাণ যেন না যায়। আমার মতো কেউ যেনো অল্প বয়সে বিধবা না হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আলালপুর নামকস্থানে বাস ও যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংর্ঘষে ৭ জনের মৃত্যু হয়।
ডিপি/