সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সুদের টাকা আদায় নিয়ে বিবাদের জেরে যশোরের মহসিনকে হত্যার পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত মেহেদী হাসান লিখনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তার দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার।
গ্রেপ্তার লিখন যশোর সদর উপজেলার নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত ট্যাংক, মহসিনের মোবাইল ফোন ও জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, গত শুক্রবার সকালে যশোর শহরতলীর বালিয়াডাঙ্গা মানদিয়া জামে মসজিদের পেছন থেকে নুরপুর গ্রামের মছি মণ্ডলের ছেলে নিহত মহসিনের (৪২) অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন মহসিনের ভাই কোরবান আলী।
মেহেদী হাসান লিখনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, লিখন ওই এলাকায় ঈগল হাই ফোর্স অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিস লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি পরিচালনা করেন। এ ব্যবসার কাজে চড়া সুদে মহসিনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন লিখন। প্রতি সপ্তাহে তাকে দিতে হত ৩০ হাজার টাকা লাভ। গত বৃহস্পতিবার রাতে লিখনের সুদের সেই টাকা দেওয়ার কথা ছিল মহসিনকে। বিকেলে ওই টাকা নিতে অফিসে যান মহসিন। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় লিখনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন মহসিন।
একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে অফিসে থাকা ল্যাপটপের চার্জার কেব্ল দিয়ে মহসিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ একটি ট্রাংকে ভরে নুরপুর থেকে প্রথমে ইজিবাইকে ও পরে ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয় ফতেপুরের মান্দিয়া গ্রামে। যাওয়ার পথে তেলপাম্প থেকে কেনা হয় ডিজেল। এরপর ঘটনাস্থলে লাশ ফেলে ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয় মহসিনের মরদেহ।
ডিবি আরও জানান, বিভিন্ন স্থানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তারা সংগ্রহ করেন। এরপর মহসিনের মোবাইল ফোনের লোকেশন শনাক্ত করে ফোন উদ্ধার করা হয় লিখনের কাছ থেকে। রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে লিখন আদালতে এ হত্যার বিষয়টি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরএ