সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
বান্দরবান-কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকায় এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। মিয়ানমার থেকে এসে পড়া গোলাবারুদের শব্দ এই আতঙ্কের মূল কারণ। ফলে বান্দরবান-কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকার দুটি উপজেলার সীমান্তবর্তী অন্তত ১০টি এলাকায় চলাচল বা কৃষিকাজ হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয়দের দাবি, বিভিন্ন এলকায় গোলা এসে পড়ছে যা এখনও অবিস্ফোরিত রয়েছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে ওপারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও কিছু সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশের সময় স্থানীয় কেউ কেউ ছিনিয়ে নেয় অস্ত্র। আবার অনেকে ধানক্ষেত্রে অস্ত্র ফেলে দেয়। যেগুলো চলে গেছে স্থানীয়দের হাতে।
নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু পশ্চিমকূল এলাকায় বিজিবির বিওপির পাশে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অবিস্ফোরিত একটি গোলাটি পাওয়া যায়। শনিবার সকালেও একই এলাকায় সড়কের পাশে পাওয়া যায় অবিস্ফোরিত আরেকটি মর্টারশেল। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘুমধুম নয়াপাড়ায় একটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল পায় স্থানীয়রা। যা পরে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
বান্দরবান-কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকার দুটি উপজেলার সীমান্তবর্তী অন্তত ১০টি এলাকায় চলাচল বা কৃষিকাজ হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্থানীয়রা। এই আতঙ্ক সবচেয়ে বেশি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তমব্রু, পশ্চিমকূল, জলপাইতলি, বেতবুনিয়া, নয়াপাড়া, উখিয়ার রহমতের বিল, হোয়াইক্যংয়ের ফাড়ি, উংছিপ্রাং এলাকায়।
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, আমার ইউনিয়নে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ থেকে ২২টা মোটর সেল পড়েছে। এছাড়া প্রায় ১০ হাজারের বেশি ছোড়া গুলি পড়েছে। এতে গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, আমার ইউনিয়নে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ থেকে ২২টা মোটর সেল পড়েছে। এছাড়া প্রায় ১০ হাজারের বেশি ছোড়া গুলি পড়েছে। এতে গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, সীমান্তের ওপার থেকে আসা কোন অবিস্ফোরিত গোলার খবর পাওয়া গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে বিজিবিকে জানানো হয়। পরে বিজিবি এসে এগুলোকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যাচ্ছে এবং তারা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রসাশন ও বিজিবি একসঙ্গে কাজ করছে। আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অস্ত্র স্থানীয়দের নিকট রয়েছে এ রকম তথ্য আমাদের কাছে নেই। যদি কারো কাছে পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন জানান, স্থানীয় কারো কাছে যদি গুলির খোসা বা কার্তুজও আছে এমন তথ্য আমাদের নজরে আসলে আমরা উদ্ধার করে নিয়ে আসব।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তাবাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলা সংঘর্ষে বাংলাদেশে এসে পড়ছে মর্টারশেল ও গুলি। গত কয়েকদিনে মিয়ানমার থেকে গোলা এসে পড়ে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মারা গেছে দুজন, আহত অন্তত ১২ জন। এছাড়া মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
কে