সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের কেরোনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই কক্ষে শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণীর পাঠদান চলছে। সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
প্রধান শিক্ষিকা জুলেখা খাতুনের প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অদূরদর্শীতার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন কমছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
বিদ্যালয়ে বর্তমানে সর্বমোট ৬৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানা গেছে। তার মধ্যে শ্রেণি পাঠদানে গড়ে ৫০ জন উপস্থিত থাকে। বিদ্যালয়টিতে সরকারিভাবে ৭ জন শিক্ষক থাকলেও আলমগীর নামে আরো একজনকে অতিরিক্ত শিক্ষক হিসেবে নিজ ক্ষমতাবলে রেখেছেন প্রধান শিক্ষিকা জুলেখা খাতুন। বিদ্যালয়ের সভাপতি রাজিব চন্দ্র জানান, প্রধান শিক্ষিকার অসহযোগিতার কারণে তিনি চাইলেও শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করতে পারছেন না। প্রধান শিক্ষক জুলেখা খাতুনকে বিদ্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তিনি অসুস্থতার কারণে ছুটিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। রাজিব চন্দ্র বলেন, ভবনের রুম সংকটের কারণে একই রুমে সবার পাঠদান চলছে।
যদিও প্রধান শিক্ষিকার এ বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সাবেক পিটিএ সভাপতি দিন মোহাম্মদ। তিনি বলেন প্রধান শিক্ষিকার অযোগ্যতায় ছাত্র ছাত্রীর সংকটে বিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বিষয়টি আমরা বার বার বললেও কোনো কাজ হচ্ছে না। পাঠদানের জন্য ২টি ভবনে শ্রেণী কক্ষ রয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় সবাইকে একসঙ্গে একই কক্ষে পাঠদান করা হয়। একই কক্ষে ৬ টি শ্রেণির শিক্ষার্থী একসঙ্গে পাঠদান করায় কেউ কারো কথা শুনেনা। তাই অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয় থেকে নিয়ে যাচ্ছে। শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে এখন ৪০ থেকে ৫০ জন উপস্থিত থাকে। প্রধান শিক্ষক প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কমিটির লোকজনের কথা না শুনে নিজের মত করে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। বিদ্যালয়েও অনিয়মিত আসেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইস্কান্দার নুরী জানান, তিনি এ বিষয়গুলো বিভিন্ন সময়ে শুনেছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন। শীঘ্রই বিদ্যালয় পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। একই কথা বলেছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার জিএম নাহিদুল হাসান।
এফএইচ