সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
নওগাঁর আত্রাইয়ে সাবিনা বিবি (৩২) ও আফরুজা বেগম (৯) নামে মা ও মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানা-পুলিশ মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার উপজেলার জামগ্রাম বাঁধপাড়া গ্রামে। সাবিনা ওই গ্রামের আরিফুল ইসলামের স্ত্রী এবং আফরুজা আরিফুলের মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সাবিনা বিবির ভাবি ফিরোজা বিবি জানান, গত বুধবার ছাগলে গাছ খাওয়া নিয়ে প্রতিবেশী আবুল হোসেনের স্ত্রী রেখা বিবির সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে সাবিনাকে বেদম মারপিট করা হয়। পরে স্থানীয়রা সাবিনাকে আহত অবস্থায় আত্রাই হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনা সমাধান করতে সাবিনাকে হাসপাতাল থেকে শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রাতে স্থানীয় মেম্বার রুহুল আমিনের নেতৃত্বে বৈঠক বসে।
বৈঠকে ঘটনাটি হাত ধরে ক্ষমার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। এরপর শনিবার সকালে সাবিনা ভাত রান্না করে পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া শেষে আরিফুল ভ্যান নিয়ে বের হয়ে চলে যান। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আরিফুল বাড়িতে এসে দেখে এক রশিতে মা-মেয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলছিল। খবর পেয়ে দুপুরে আত্রাই থানা পুলিশ এসে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ফিরোজা দাবি করে বলেন, প্রতিবেশী রেখারাই সাবিনা ও তার মেয়েকে হত্যা করেছে।
প্রতিবেশী রেখা বলেন, সাবিনার সঙ্গে আমাদের যে দ্বন্দ্ব হয়েছিল তা রাতে বসে মীমাংসা হয়েছে। সাবিনার মৃত্যু ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই। তারা আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে দোষ চাপাচ্ছে।
স্থানীয় মেম্বার রুহুল আমিন জানান, প্রতিবেশীর সঙ্গে মারপিটের ঘটনাটি আমরা স্থানীয়ভাবে সমাধান করে দিয়েছি। কিন্তু সকাল ৯টার দিকে জানতে পারি সাবিনা এবং তার মেয়ে মারা গেছে। তবে তারা আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাদের হত্যা করেছে, এটা আমি বলতে পারছি না।
আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, মা-মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তারা আত্মহত্যা করেছে নাকি হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নওগাঁ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম আ্যান্ড অপস্) আহসানুজ্জামান পিপিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফৌজিয়া হাবিব খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জেবি/এইউ