সম্পাদক: আরিফ হাসান
দেশ টেলিভিশন লিমিটেড, কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট, ৪২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ।
টেলিফোন: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৫৮, ৮৩৩২৯২২ ফ্যাক্স: +৮৮ (০২) ৮৩৩২৯৮১ মেইল: [email protected]
সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী হাসপাতাল-ক্লিনিক কিংবা চিকিৎসক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দু’টি ঘটনায় দায়ের করা মামলার ছায়া তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। বাবা-মায়ের কোল থেকে শিশু এভাবে হারিয়ে যাবে, এটা কেউ মেনে নিতে পারে না।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিবি প্রধান। তিনি বলেন, একসময় গ্রামাঞ্চলে সুন্নতে খতনায় কোনো বৈজ্ঞানিক পন্থা ছিল না। এতে কোনো শিশুর ক্ষতি কিংবা কেউ আহত হতো না। কিন্তু এখন তথাকথিত ভুয়া ক্লিনিক, যাদের কোনো লাইসেন্স নেই সেসব ক্লিনিকে শিশুদের অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগ করা হচ্ছে। অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগের পর দেখা যাচ্ছে শিশুদের জ্ঞান ফিরছে না। যারা অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগ করছেন তাদের সে সম্পর্কে কোনো সঠিক জ্ঞান আছে কি না আমি জানি না।
তিনি বলেন, এটি একটি মারাত্মক গর্হিত কাজ। বাড্ডা থানায় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। তিনি আবেদন করলে মামলাটি থানা থেকে ডিবিতে এনে যথাযথভাবে তদন্ত করব।
হাসপাতালগুলো অনেক বেশি প্রভাবশালী কিন্তু যারা মামলার বাদী তারা অনেক নিরীহ। অনেক সময় প্রভাবশালীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দেয়। এ বিষয়ে ডিবির ভূমিকা কী– জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, যে মানুষটি তার আদরের শিশু সন্তানকে হারিয়েছে সে অনেক গরিব মানুষ। সেই সন্তানকে নিয়ে মা-বাবার অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। এ বিষয়ে ডিবি সব অসহায় মানুষের পাশে আছে। যারা দায়ী কাউকে ছাড় দেবে না ডিবি।
এদিকে রাজধানীর বাড্ডা থানার সাতারকুল এলাকায় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত চিকিৎসকদের ফাঁসি দাবি ও হাসপাতাল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন শিশু আয়ানের বাবা মো. শামীম আহমেদ। রোববার ডিবি কার্যালয়ে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে লিখিত অভিযোগ জমা দেন তিনি।
এও