নরসিংদীর শিবপুরে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় এক কিশোরীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি মারা গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া আজিজার মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আজিজার শরীরের ৯৬ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল।
পরিবারের অভিযোগ, মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় কিশোরীকে সন্দেহ করার পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।
নিহত কিশোরীর নাম আজিজা (১৫)। তার বাবার নাম আবদুস সাত্তার। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিরপুর থানার খৈনকুর।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজিজা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। পাঁচ বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল চতুর্থ।
শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আজিজা মারা যায়।
আজিজার ভাই সুজন দাবি করেন, আট দশদিন আগে তাদের প্রতিবেশী এক চাচির মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ নিয়ে আজিজাকে ওই চাচি ও তার স্বজনেরা সন্দেহ করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে মোবাইল ফিরিয়ে না দিলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবেন এমন হুমকিও দেন চাচির স্বজনেরা।
সুজন আরও জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে ছোট ভাই ও আজিজা ছাড়া বাসায় কেউ ছিল না। আনুমানিক রাত ৮টার দিকে ঘরের পেছন থেকে আজিজাকে মুখ চোখ বেঁধে কে বা কারা ধরে নিয়ে যায়। পরে আধা কিলোমিটার দূরে একটি টিলার ঢালে নিয়ে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
আগুন দেখে স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে আজিজাকে দেখতে পায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, মেয়েটি পুড়ে মারা গেছে এটা সত্য তবে কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।