কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামের জনজীবন— দিনের অর্ধেকের বেশি সময় সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না। সেইসঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষেরা। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ আর শিশুরা।
গত কয়েক দিনে হিমেল হাওয়ার প্রভাবে শীতের প্রকোপ বেড়েছে দিনাজপুরে। ঘন কুয়াশা এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সকাল থেকেই দেখা মিলছে না সূর্যের। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। শীত নিবারনে গরম পোশাক কেনাকাটায় ব্যস্ত সবাই।
প্রচণ্ড শীতে বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের দিন কাটছে কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছে।
এদিকে, কুড়িগ্রামেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা— বিশেষ করে চরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি। দুপুর পর্যন্ত দেখা মিলছেনা সূর্যের। দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
শীতের কাপড়ের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাজে বের হতে পারছেন না। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন অনেকেই। সন্ধার আগেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় জনপদ। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা।