কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় ও আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন কবি বেলাল চৌধুরী।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কবির মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়া হয়।
শহীদ মিনারে কবির মরদেহ ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় তার বন্ধু, অনুরাগী ও সর্বস্তরের মানুষ। বেলা ১২টা পর্যন্ত কবির মরদেহ সেখানে রাখা হয়।
শহীদ মিনারে নাগরিক শ্রদ্ধা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর কবির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে ফেনীর শর্শদীতে পারিবারিক কবরস্থানে কবিকে দাফন করা হবে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি বেলাল চৌধুরী মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
বেলাল চৌধুরীর ছেলে আবদুল্লাহ প্রতীক চৌধুরী বলেন, লাইফ সাপোর্ট খোলার আগেই তিনি মারা যান। লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসকরা সব চেষ্টাই করেছেন তবে তাকে বাঁচানো যায়নি।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
কবির ছেলে আবদুল্লাহ প্রতীক চৌধুরী জানান, দীর্ঘ চার মাস ধরেই বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়।
পরে শুক্রবার অবস্থার আরো অবনতি ঘটায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও সাংবাদিক বেলাল চৌধুরী ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস থেকে প্রকাশিত ‘ভারত বিচিত্রা’র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। রূপালী গ্রুপের ‘সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ’ পত্রিকাটিও তিনি সম্পাদনা করেন।
বেশ কয়েক বছর ভারতের কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’, ‘বত্রিশ নম্বর’। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পান। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও।